বৈদিক মায়া শব্দটির যে কতরকম এর অর্থ,গভীর দার্শনিক ব্যঞ্জনা থেকে শুরু করে হীন কৌশল পর্যন্ত।মায়া বড় কাঁদায় আবার সময়ের নিয়মে কেটেও যায়।তেরো তে কলেজস্ট্রীটে হাঁটতে হাঁটতে কফি হাউজে গিয়ে নেমে এসেছি।প্যারাডাইসে গিয়ে মনে হলো এখানেই তো একদিন পরিচয় হয়েছিলো।চোখ তখন প্যারাডাইসের নাম তালিকায় যারা এখানে এসে ধন্য করেছেন।প্যারাডাইস শতবর্ষ পূরণ করলো।নামটি দেখতে দেখতে মানিব্যাগ থেকে নোটটি বের করে গন্ধ নিলাম।একশ,পঞ্চাশ আর পাঁচ তিনটি নোটের গন্ধ আলাদা হয়ত পরিচয় ও খ্যাতিও।কিন্তু একশটাকা যিনি দিয়েছিলেন বেশ বিস্ময়ে দেখলাম কলেজস্ট্রীট তাকে মনে রাখেনি অথচ আজ যে এত বই এত প্রকাশনী তার জন্য এই মানুষটির শ্রম,স্বপ্ন আজকের প্রজন্ম জানলোই না।কি ভীষণ লজ্জা।
কাকে বলে প্রগতি আর কাকে বলে প্রগতিবিরোধী তা স্থির করা কঠিন হয়ে ওঠে যখন তখনো এই মানুষটিকে দেখছি অবিচল।ভাল লেখার কদর যেমন করতে পারতেন তেমনি খারাপ লেখা মুখের উপর ছুঁড়েও দিতে দেখেছি।রাজনীতি,সাহিত্য,আত্মীয় পরিজন কোথাও কর্তব্যের খামতি রাখেননি।একবার কলেজস্ট্রীট থেকে খানিক এগিয়েই ফেভারিট কেবিনে যাচ্ছি পথে একজন কে ডেকে কি কথা বলে সাদা ধবধবে পাঞ্জাবীর পকেট থেকে কি যেন দিলেন।ফিরে এসে বললেন শৌনক আজ চলো ফিরেই যাই দশটি টাকা আছে।বুঝতে বাকী রইলনা সাক্ষাত পাওয়া ব্যক্তিটিকে উজার করে দিয়ে এসেছেন এমনকি বাড়ী ফেরার টাকাটিও রাখেননি।আর এই মানুষটিই যখন ক্যান্সার আক্রান্ত হলেন একে একে মুখ ফিরিয়ে নিলেন অনেকেই এমন কি তার সাহায্যে সংকট কাটানো মানুষ স্বজনেরাও।হাতে ধরে কথা গুলো যখন বলছেন তখন মনে পড়ে আমিও তো উনার সাহায্যে মনোবল পাওয়া একজন।আমার টিউশন পড়ানোর টাকা থেকে ওষুধ কিনতে কিছু দিতে চেয়েছিলাম একটি গাড়ির আওয়াজ ঘোর কাটিয়ে দেয়।ফেভারিট কেবিনের ভেতরের কোণের টেবিলটায় এসে বসি অনেক কিছু বদলে গেছে।শ্বেতপাথরের টেবিল জুড়ে ফাটল।পাঁচ টাকার শক্তিচট্টোপাধ্যায় কিংবা পঞ্চাশটাকার সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় কে ছাপিয়ে তখন একশ টাকা সংখ্যামানে বড় হলেও বড় ধুলাটে।আকাশের মত মানুষটি মনে প্রাণে লালন করতেন মানুষকে ভালবাসো পলিটিক্যাল ক্ষমতাকে কখনো ব্যক্তিস্বার্থে ব্যবহার করেননি এমন কি গুরুতর অসুস্থ,অর্থাভাবে ক্লিষ্ট দিনগুলোতেও না।অনেক বিখ্যাত বইয়ের প্রতিটি পাতায়,অনেক সাধারণ কে বিখ্যাত করার পরিক্রমায় তার পরশ যার কেবল তিনি কোথাও নেই সেই রেকর্ডারের ৯র দোকানটির মতো অথচ আজ এবং আগামী অনেক বছর তার উজ্জ্বল উপস্থিতি থাকার কথা ছিলো প্রকাশনায়,সাহিত্যে,রাজনীতিতে হয়ত এ আমাদেরই দৈন্যতা ক্ষমা করো প্রসূন বসু....
কাকে বলে প্রগতি আর কাকে বলে প্রগতিবিরোধী তা স্থির করা কঠিন হয়ে ওঠে যখন তখনো এই মানুষটিকে দেখছি অবিচল।ভাল লেখার কদর যেমন করতে পারতেন তেমনি খারাপ লেখা মুখের উপর ছুঁড়েও দিতে দেখেছি।রাজনীতি,সাহিত্য,আত্মীয় পরিজন কোথাও কর্তব্যের খামতি রাখেননি।একবার কলেজস্ট্রীট থেকে খানিক এগিয়েই ফেভারিট কেবিনে যাচ্ছি পথে একজন কে ডেকে কি কথা বলে সাদা ধবধবে পাঞ্জাবীর পকেট থেকে কি যেন দিলেন।ফিরে এসে বললেন শৌনক আজ চলো ফিরেই যাই দশটি টাকা আছে।বুঝতে বাকী রইলনা সাক্ষাত পাওয়া ব্যক্তিটিকে উজার করে দিয়ে এসেছেন এমনকি বাড়ী ফেরার টাকাটিও রাখেননি।আর এই মানুষটিই যখন ক্যান্সার আক্রান্ত হলেন একে একে মুখ ফিরিয়ে নিলেন অনেকেই এমন কি তার সাহায্যে সংকট কাটানো মানুষ স্বজনেরাও।হাতে ধরে কথা গুলো যখন বলছেন তখন মনে পড়ে আমিও তো উনার সাহায্যে মনোবল পাওয়া একজন।আমার টিউশন পড়ানোর টাকা থেকে ওষুধ কিনতে কিছু দিতে চেয়েছিলাম একটি গাড়ির আওয়াজ ঘোর কাটিয়ে দেয়।ফেভারিট কেবিনের ভেতরের কোণের টেবিলটায় এসে বসি অনেক কিছু বদলে গেছে।শ্বেতপাথরের টেবিল জুড়ে ফাটল।পাঁচ টাকার শক্তিচট্টোপাধ্যায় কিংবা পঞ্চাশটাকার সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় কে ছাপিয়ে তখন একশ টাকা সংখ্যামানে বড় হলেও বড় ধুলাটে।আকাশের মত মানুষটি মনে প্রাণে লালন করতেন মানুষকে ভালবাসো পলিটিক্যাল ক্ষমতাকে কখনো ব্যক্তিস্বার্থে ব্যবহার করেননি এমন কি গুরুতর অসুস্থ,অর্থাভাবে ক্লিষ্ট দিনগুলোতেও না।অনেক বিখ্যাত বইয়ের প্রতিটি পাতায়,অনেক সাধারণ কে বিখ্যাত করার পরিক্রমায় তার পরশ যার কেবল তিনি কোথাও নেই সেই রেকর্ডারের ৯র দোকানটির মতো অথচ আজ এবং আগামী অনেক বছর তার উজ্জ্বল উপস্থিতি থাকার কথা ছিলো প্রকাশনায়,সাহিত্যে,রাজনীতিতে হয়ত এ আমাদেরই দৈন্যতা ক্ষমা করো প্রসূন বসু....
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন