নাইট শিফট সেরে ঘুমঘুম চোখে সায়ন্তিকা কলিং বেলটা বাজাল। ফ্ল্যাটের দরজা খুলেতেই কফিমাগ হাতে সেই অনেক দিনের পরিচিত মিষ্টি হাসি মাখানো মুখটা চোখের সামনে। সেই কলেজ লাইফ থেকেই সায়ন্তিকা দেখছে শুভায়নকে, ওর মুখ কোনও দিনও গম্ভীর দেখেনি। একই ক্লাসে চারটে বছর এক সঙ্গে কাটালো কলেজে। পাশ করেই সায়ন্তিকা বেসরকারি কলেজে এম.বি.এ-তে এডমিশন নিলো আর শুভায়ন মাষ্টার ডিগ্রীতে, ওর নিজের ইউনিভার্সিটিতেই। চাকরীটা সায়ন্তিকাই আগে পেয়েছিল। ওদের বিয়েটা আটকে ছিল শুভায়নের চাকরীর অপেক্ষায়। শুভায়ন স্কুল মাস্টারির চাকরীতে জয়েন করতেই ওরা বিয়েটাও সেরে নিলো। তারপর সংসার পাতলো বাইপাসের ধারে এই ছোট্ট ওয়ান বি.এইচ.কে ফ্ল্যাটে।
ফ্ল্যাটে ঢুকে ক্লান্ত শরীরটা সোফায় এলিয়ে দিতেই সায়ন্তিকার দিকে কফিমাগ এগিয়ে দিতে দিতেই শুভায়ন বলে উঠল,
- "দাঁত মেজে নে ব্রেকফাস্ট দিচ্ছি.."
- "আজকের মেনু?"
দু'চোখ বুজেই সায়ন্তিকা শুভায়নের দিকে ছুড়ে দিল প্রশ্নটা। আর তড়িৎ গতিতে শুভায়নের জবাব,
- "চিকেন বাদশাহি কাবাব, পনীর টিক্কা আর....."
ঘুমে বুজে আসা ক্লান্ত চোখদুটো খুলে সায়ন্তিকা শুভায়নের সেই কান এঁটো করা হাসিমুখ দেখেই হুকুম চলায়,
- "ঢ্যামনামি না করে দুধ কর্নফ্লেক্স নিয়ে আয় তো, খিদে আর ঘুম দুটোই একসাথে পাচ্ছে.."
- "আঃ! ছেলেদের মত রকের ভাষা বলিস নাতো?"
শুভায়নের কৃত্রিম ধমক শুনেই সায়ন্তিকা বলে উঠলো,
- "একজনকে তো অনন্ত ছেলে ছেলে হতেই হবে বস! দুজনেই যদি মেয়ে মেয়ে হয়ে যাই লোকে ইয়ে বলে টিটকিরি দেবে না?"
দুজন মিলে দুধ কর্নফ্লেক্স খেতে খেতেই অনভ্যস্ত আদুরে গলায় সায়ন্তিকা হঠাৎ বলে উঠলো,
- "এই শুভো, ছুটি নিবি আজকে?"
- "তোর মাথা খারাপ? সামনেই মাধ্যমিক পরীক্ষা, স্পেশাল ক্লাস চলছে। ছুটির কথা বললেই হেডু আমায় চাটাবে..."
বলতে বলতেই শুভায়ন ঢুকে গেল বাথরুমে। তখনো দুচোখ বুজেই বলে চলেছে সায়ন্তিকা,
- "কতদিন তোকে পাশবালিশ করে শুইনি বলতো? দুঃশালা, বিয়ে করেও ভাল্লাগে এই সব....."
বলতে বলতেই দু'চোখের পাতা বুজে আসে সায়ন্তিকার। বাথরুম থেকে শাওয়ারে জল পরার শব্দে সায়ন্তিকার একান্তই মনের কথাগুলো শুভায়নের কান পর্যন্ত পৌঁছল কিনা কে জানে....
স্নান সেরে স্কুলের জন্যে তৈরি হতে হতেই শুভায়ন লক্ষ্য করে সায়ন্তিক ঘুমিয়ে কাদা। ওকে আর না জাগিয়ে ফ্ল্যাটের বাইরে থেকে লক করেই দ্রুত বেরিয়ে যায়, ফার্স্ট পিরিয়ডেই ক্লাস আছে তাই আজ আর দেরি করার উপায় নেই শুভায়নের।
ফ্ল্যাটে ঢুকে ক্লান্ত শরীরটা সোফায় এলিয়ে দিতেই সায়ন্তিকার দিকে কফিমাগ এগিয়ে দিতে দিতেই শুভায়ন বলে উঠল,
- "দাঁত মেজে নে ব্রেকফাস্ট দিচ্ছি.."
- "আজকের মেনু?"
দু'চোখ বুজেই সায়ন্তিকা শুভায়নের দিকে ছুড়ে দিল প্রশ্নটা। আর তড়িৎ গতিতে শুভায়নের জবাব,
- "চিকেন বাদশাহি কাবাব, পনীর টিক্কা আর....."
ঘুমে বুজে আসা ক্লান্ত চোখদুটো খুলে সায়ন্তিকা শুভায়নের সেই কান এঁটো করা হাসিমুখ দেখেই হুকুম চলায়,
- "ঢ্যামনামি না করে দুধ কর্নফ্লেক্স নিয়ে আয় তো, খিদে আর ঘুম দুটোই একসাথে পাচ্ছে.."
- "আঃ! ছেলেদের মত রকের ভাষা বলিস নাতো?"
শুভায়নের কৃত্রিম ধমক শুনেই সায়ন্তিকা বলে উঠলো,
- "একজনকে তো অনন্ত ছেলে ছেলে হতেই হবে বস! দুজনেই যদি মেয়ে মেয়ে হয়ে যাই লোকে ইয়ে বলে টিটকিরি দেবে না?"
দুজন মিলে দুধ কর্নফ্লেক্স খেতে খেতেই অনভ্যস্ত আদুরে গলায় সায়ন্তিকা হঠাৎ বলে উঠলো,
- "এই শুভো, ছুটি নিবি আজকে?"
- "তোর মাথা খারাপ? সামনেই মাধ্যমিক পরীক্ষা, স্পেশাল ক্লাস চলছে। ছুটির কথা বললেই হেডু আমায় চাটাবে..."
বলতে বলতেই শুভায়ন ঢুকে গেল বাথরুমে। তখনো দুচোখ বুজেই বলে চলেছে সায়ন্তিকা,
- "কতদিন তোকে পাশবালিশ করে শুইনি বলতো? দুঃশালা, বিয়ে করেও ভাল্লাগে এই সব....."
বলতে বলতেই দু'চোখের পাতা বুজে আসে সায়ন্তিকার। বাথরুম থেকে শাওয়ারে জল পরার শব্দে সায়ন্তিকার একান্তই মনের কথাগুলো শুভায়নের কান পর্যন্ত পৌঁছল কিনা কে জানে....
স্নান সেরে স্কুলের জন্যে তৈরি হতে হতেই শুভায়ন লক্ষ্য করে সায়ন্তিক ঘুমিয়ে কাদা। ওকে আর না জাগিয়ে ফ্ল্যাটের বাইরে থেকে লক করেই দ্রুত বেরিয়ে যায়, ফার্স্ট পিরিয়ডেই ক্লাস আছে তাই আজ আর দেরি করার উপায় নেই শুভায়নের।
*********************************************************************************
আজও নাইট শিফট সেরে ক্লান্ত শরীরটা কোনও মতে টনতে টানতে সায়ন্তিকা কলিং বেলটা বাজাল। আজও ফ্ল্যাটের দরজা খুলেতেই পরিচিত মিষ্টি হাসি মাখানো সেই মুখটাই চোখের সামনে কিন্তু হাতে অন্য দিনের মত কফিমাগটা নেই। ক্লান্ত শরীরটা সোফায় এলিয়ে দিতে দিতেই সায়ন্তিকা জিজ্ঞেস করল,
- "কি রে, আজ কফি দিলি না?"
- "না রে, আজ এখনও তো সকালই হয় নি...."
শুভায়নের হেঁয়ালি মাখানো অদ্ভুত উত্তর শুনে, "তার মানে?" বলে ভ্রু কুঁচকে ওর দিকে সায়ন্তিকা তাকাতেই ওর সেই ট্রেডমার্ক কান এঁটো করা হাসিমুখে শুভায়ন উত্তর দিল,
- "আমার বউয়ের পাশবালিশ আর ভাল্লাগছে না, এই কথা হেডুকে বলতেই ওই আনরোমান্টিক খেঁকুটে বুড়োও এক কথায় ছুটি দিয়ে দিল...."
- "কি রে, আজ কফি দিলি না?"
- "না রে, আজ এখনও তো সকালই হয় নি...."
শুভায়নের হেঁয়ালি মাখানো অদ্ভুত উত্তর শুনে, "তার মানে?" বলে ভ্রু কুঁচকে ওর দিকে সায়ন্তিকা তাকাতেই ওর সেই ট্রেডমার্ক কান এঁটো করা হাসিমুখে শুভায়ন উত্তর দিল,
- "আমার বউয়ের পাশবালিশ আর ভাল্লাগছে না, এই কথা হেডুকে বলতেই ওই আনরোমান্টিক খেঁকুটে বুড়োও এক কথায় ছুটি দিয়ে দিল...."
বাইরে কড়কড়ে রোদ উঠে গেছে, বন্ধ জানলা ভেদ করেও বাইরে থেকে ভেসে আসছে গাড়ির হর্নের শব্দ। শুভায়নের আর ঘুম আসছে না। বালিশের ওপর আড়াআড়ি ভাবে রাখা হাতে মাথা রেখে চুপচাপ শুয়ে আছে। মাথার ওপর ঘুরতে থাকা ফ্যানের আওয়াজ ছাপিয়েও কানে আসছে সায়ন্তিকার শ্বাসের আওয়াজ। শুভায়নের পায়ের ওপর একটা পা আর বুকে হাত রেখে ঘুমোচ্ছে সায়ন্তিকা। নাইট ল্যাম্পের হালকা আলোয় সায়ন্তিকার ঘুমন্ত মুখে যেন এক অনাবিল প্রশান্তি। দেখলেই বোঝা যায় অনেক দিন পরে মনের মত পাশবালিশ পেয়ে খুব খুশি সায়ন্তিকা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন