মদোমাতাল হরি সন্ধ্যে থেকে দিশি মাল টেনে টেনে টাল হয়ে পড়ে থাকলো রাস্তার ধারে। মাঝরাতে নেশাটা সামান্য ফীকে হতেই চটক ভেঙে উঠে বসে পাশে পড়ে থাকা খালি বোতলটা একবার উপুর করলো মুখের ভেতর। টুপ করে এক ফোঁটা মাল জিভে পড়েই মিলিয়ে গেল। হরি ধুস্ বলে বিরক্ত প্রকাশ করে চারপাশটা দেখতে থাকলো উশকোখুশকো চুলগুলো খচরমচর করে চুলকোতে চুলকোতে। তখনই দেখলো, একটা নেড়ী কুকুর গা ঘেঁসে শুয়ে আছে। হরি কুকুরটার মাথায় আলতো করে একটা চাঁটি মেরে বললো, ও বাবা, তুইও?
কুকুরটা লাল লাল চোখে তাকিয়ে গড় গড় করে বিরক্ত প্রকাশ করতে হরি হেঁ হেঁ করে হেসে বললো, ও বাওয়া, নাক ডেকে ঘুমোনো হচ্ছে?
কুকুরটা যেমনটা শুয়েছিলো তেমনটাই থাকলো কুণ্ডলী পাকিয়ে। হরির এবার ফিস্ফিস্ করে জিজ্ঞেস করলো, তা বাওয়া, চোলাই না চোরাই? কোনটা?
কুকুরটা এবার সামান্য নড়েচড়ে নিয়ে মুখ দিয়ে শব্দ করলো ‘ভুক্-ভুক্’ ।
হরি শুনেই আহ্লাদে আটখানা, চুপ করতে বলছিস? তারমানে চোরাই মাল। ওফ্ কতদিন চোরাই মাল খাইনি। তা একবার দেখা দিকি তো বোতলটা। কোথায় লুকিয়েছিস বাওয়া?
কুকুরটা এবার রাগ প্রকাশ করলো ভৌ-ভৌ করে। হরির তাতে ভারী বয়ে গেল। সে কুকুরটার কানের কাছে মুখ নামিয়ে এনে জড়ানো গলায় বললো, কাঁদছিস কেন? ভয় নেই। তোকে তুলে দেবো না পুলিশের হাতে। শুধু বোতলখানা বার কর দিকি। একটু গলা ভিজিয়ে নিই। কেউ এসে পড়লে মালের বোতলটা পেছনে লুকিয়ে ফেলি। তুইও বুঝি সেটাই করেছিস? কই বাৎ নেহি। আমি নিজেই খুঁজে নিচ্ছি তোর পেছন থেকে।
কুকুরটা এবার রাগ প্রকাশ করলো ভৌ-ভৌ করে। হরির তাতে ভারী বয়ে গেল। সে কুকুরটার কানের কাছে মুখ নামিয়ে এনে জড়ানো গলায় বললো, কাঁদছিস কেন? ভয় নেই। তোকে তুলে দেবো না পুলিশের হাতে। শুধু বোতলখানা বার কর দিকি। একটু গলা ভিজিয়ে নিই। কেউ এসে পড়লে মালের বোতলটা পেছনে লুকিয়ে ফেলি। তুইও বুঝি সেটাই করেছিস? কই বাৎ নেহি। আমি নিজেই খুঁজে নিচ্ছি তোর পেছন থেকে।
বলেই কুকুরটার লেজ ধরে টানাটানি জুড়ে দিলো, কই রে, বোতলটা দেখতে পাচ্ছি না তো! কোথায় রেখে......ওরে বাওয়া রে। তা’বলে হাতটা ভেঙে দিবি সামান্য একটা মালের বোতলের জন্য?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন