শুক্রবার, ১ জানুয়ারী, ২০১৬

প্রচুর দূরত্ব হয়ে আছো ~ শৌনক দত্ত

( প্রয়াত লেখক , কবি , প্রকাশক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব প্রসূন বসুর প্রতি  শ্রদ্ধা ) 
------------------------------------------------------------------------------------------------

বড়দিনের এই রাতে দাঁড়িয়ে আছে দুজন অচেনা মানুষ।একজন সাদা শুভ্র ধূতি পাঞ্জাবীতে অন্যজন পেরেক বিদ্ধ কাঁটার মুকুটে।
পৃথিবী কি আয়তনে বেড়ে যাচ্ছে দিন দিন অথবা ক্রমান্বয়ে সীমিত।বিশ্বাসের আঁতুড় ঘরে একজন জন্মেছেন কুমারী মেরির গর্ভে অন্যজন একটি দুরত্বে ক্ষুধার দেশে ব্যর্থ চোখে শীতের সকাল বদলের আসন্ন নবান্নের পয়মন্ত দুপুরে।একজন যীশু অন্যজন প্রসূন বসু!পরস্পর বিরোধী দুজন মানুষ অথচ এক কন্ঠস্বর একই পোট্রেট।দুজনের বুকেই জোছনার জলে বদলে দেবার পেন্ডুলামে সেবা দিনরাত!
যীশু গল্প কুয়াশা।প্রসূন বসু জীবন্ত অথচ গল্পহীন নিরহংকার বিস্ময়।নীল নীল জলে নিমগ্ন স্নানে যেসব নির্ভেজাল মানুষেরা আসে তাদের অন্যতম একজন প্রসূন বসু অথচ রৌদ্রময় রুপোলি সমুদ্রের শেষদিনে কে জানতো জন্মে যে চাঁদের দ্বিতীয় নাম নিয়ে জন্মগ্রহন করে সোনার হরিন আর নিজের সুখ,অর্থ বিলিয়েছেন তার জন্য বেদনার ভায়োলিন বাজিয়ে কেউ আসবেনা সাদা রাজহাঁস আর কৃতজ্ঞতার সিম্প্যাথী নিয়ে শিয়রে!
আজ প্রসূন বসুর জন্মদিন।এইদিনে এসব লেখার হয়ত মানে হয়না কিন্তু সান্তাক্লজের উজার করে দেয়া ঝুলি যখন ইদুঁরে কাটে।কন্যা,পুত্র সংসার নিয়ে যখন অর্থকষ্ট বুকে চেপে বিছানায় শুয়েও যে স্বপ্ন দেখার সাহস জোগায় তখন বহুকাল আগের যীশু যেন সাদা ধূতি পাঞ্জাবীতে মিশে এক হয়ে যান যেন বিশ্বস্ততার উঠোনে সুস্থতায় বলে উঠেন ওদের তুমি ক্ষমা করো।কিন্তু কাকে ক্ষমা করবে নিরুপায় শব্দ?
জলের ক্ষতচিহ্ন স্বপ্নের সুদূরে দাঁড়িয়ে আজ যারা প্রসূন বসুর উদারতা,উজার বন্ধুত্বতা,রাজনৈতিক মেধা নিয়ে ভ্রমণপথে তারা আজ হয়ত জন্মদিন তো দূর মানুষটিকেই ভুলে গেছেন শূন্য সাঁকোর নির্জন টানে!
কেমন আছে প্রসূন বসুর ছায়ারা(তার সন্তানরা)ব্যর্থ বিষাদে সাধে বিশ্বাসে বিধ্বংশ নিহারিকা বুকে শোভন সংসারে।
প্রসূনদা উচিত ছিলো তোমার বাস এক্কেবারে আমার পাশেই হওয়া।বকুল জানালা খুললেই তোমাকে দেখা যেতো দেয়ালের শার্টে শ্লোগান নয় আজ দুজনে বসে লিখতাম শুভ জন্মদিন আর তুমি কয়লার দাগ মুছে মুচকি হেসে বলতে দূর পাগল জন্মদিন আবার কি জন্ম তো রোদেলা খোলস বিলিয়ে যেতে হয় আর ভাসমান মেঘের মতন আকাশে মাটিতে লিখে যেতে হয় অবিরাম অন্বেষা আর পরের জন্য নিজেকে!
ব্যক্তিগত দেরাজ খুলে পরিচিত তোমার দেয়া একশ টাকার নোট আর আয়নাটি বার করি।আকাশে ওটা কি জোছনা নাকি সূর্যের মৃত রোদ্দুর আমি কিছুতেই পাঠাতে পারছিনা তোমার প্রিয় ফুল কিছুতেই বলে পৌঁচ্ছাতে পারছিনা শুভ জন্মদিন তাই গীর্জায় এসে দাঁড়িয়েছি তুমি এত দূরত্ব হয়ে আছো কিছুতেই তোমায় ছুঁতে পারছিনা সহসা ঝাপসা চোখ আর আলোক ধারায় মনে হলো ক্রশে যীশু আর তুমি একাকার!
এ কি দেখার ভুল নাকি উদাসিন ডানায় দ্বিধাগ্রস্ত অধিবাসে তুমি বলে গেলে আবার প্রসস্থ প্রতীজ্ঞা জ্বালো আলোকিত হোক বোধি,উদাসি পথের ভাসমান ধুলো ঝরা ভালোবাসা--

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

সম্পাদিকার ডেস্ক থেকে

উৎসবের আলোড়ন কিছুটা স্তিমিত , তবুও মনের অলিন্দে হৈমন্তী স্বপ্ন । বারো মাসের তেরো পার্বণ প্রায় শেষ মুখে , উৎসব তিথি এখন অন্তিম লগ্ন যাপনে ব...